সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিতে এক যুগ পর অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা। শুক্রবারের এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। সবমিলিয়ে প্রায় ৫ লাখ ছাত্র-ছাত্রী এতে অংশ নিয়েছেন। দীর্ঘসময় পর অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষার ফল আগামী ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হতে পারে।
আজ (৩০ ডিসেম্বর) পরীক্ষা শেষে গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
ডিপিইর এই কর্মকর্তা জানান, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ফেব্রুয়ারিতে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার পরিকল্পনা আছে।
এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দেশের সব উপজেলায় বুকলেটে এই পরীক্ষা শুরু হয়। বুকলেটে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান- এই চারটি বিষয়ে ২৫ নম্বর করে ১০০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর করতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
এ বছর ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে। এরমধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৩৩ হাজার এবং সাধারণ গ্রেডে ৪৯ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে। এরমধ্যে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তির ক্ষেত্রে উপজেলাভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যার ভিত্তিতে মোট বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছাত্র এবং ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের মধ্যে জেন্ডারভিত্তিক মেধা অনুসারে প্রদান করা হবে। ফলে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসিক ৩০০ টাকা এবং সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসিক ২২৫ টাকা করে পাবেন।
২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালুর পর এর নম্বরের ভিত্তিতেই বৃত্তি দেওয়া শুরু হয়েছিল। তবে করোনার প্রভাবে গত ২ বছর পিইসি পরীক্ষা হয়নি। পরে এই পরীক্ষা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর প্রেক্ষিতে দীর্ঘসময় পর চলতি বছর থেকে আবারও বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হলো। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারই (২৯ ডিসেম্বর) এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেদিন দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন থাকায় নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো।